নতুন বার্তা ডটকম
ঢাকা: পেট্রোল বোমায় ঝলসে যাওয়া মুনিয়ার বেগমের (২০) পাশে দাঁড়িয়েছে বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘গুডহিল ট্রাস্ট’। সংগঠনটির পরিচালক যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী রহিজ ভূইয়া তাকে নগদ ৫০ হাজার টাকা সহায়তা দিয়েছেন।
মঙ্গলবার গুলশানের নিকেতনে গুডহিল ট্রাস্টের কার্যালয়ে মুনিয়া নিজে এ টাকা বুঝে নেন। এ সময় তিনি বলেন, “এখনো চিকিৎসার বাকি আছে। চিকিৎসার জন্য দুই মাস পর পর ঢাকা আসতে হইবো। চিকিৎসকরা হাতে অস্ত্রোপচার করার কথা বলেছেন।”
মুনিয়া জানান, হাসপাতাল থেকে চিকিৎসার পর এতদিন তিনি তেজগাঁওয়ে বোনের বাসাতেই ছিলেন। মঙ্গলবার চলে যাচ্ছেন মেহেরপুরে।
গত বছর ১১ নভেম্বর বিরোধী দলের হরতালের মধ্যে মেহেরপুরের গোভীপুর থেকে অটোরিকশায় আমঝুপি যাওয়ার পথে পিকেটারদের ছোড়া পেট্রোল বোমায় ঝলসে গিয়েছিল মুনিয়ার শরীর। ওই ঘটনার পর তার দুই বছরের মেয়ে তিশা ঝলসে যাওয়া মাকে দেখে ভয়ে কাছে যেতে চাইত না। ওই পরিস্থিতি এখন আর নেই। শরীরের ক্ষত শুকিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে মেয়েও যেন মাকে ফিরে পাচ্ছে।
সরকারি হাসপাতালে বিনা খরচে চিকিৎসার পাশাপাশি বিভিন্ন সময় বিভিন্ন জনের কাছ থেকে পাওয়া আর্থিক সহায়তায় অনেকটাই ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছেন মুনিয়া।
তিনি বলেন, “সরকার তো চিকিৎসা দিবো বলছে, ওষুধ দিবো তাতো বলে নাই। আমি বোমা হামলার শিকার হওয়ার পর অনেকে সাহায্যের হাত বাড়াইছেন। এখন আর কিছু সাহায্য পাইলে আমি স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারুম।”
মুনিয়ার স্বামী রানা খান মেহেরপুরে বাবুর্চির কাজ করেন। তবে স্ত্রীর চিকিৎসার জন্য ছোটাছুটি করায় ছয় মাস ধরে বেকার। তিনি বলেন, “আমি চাই ওর প্লাস্টিক সার্জারি হোক। কিন্তু ওর চিকিৎসার খরচ বহন করা আমার একার পক্ষে একেবারেই অসম্ভব।”
গুডহিল ট্রাস্টের নির্বাহী পরিচালক তানভীর রাকিব জানান, একটি অনলাইন সংবাদপত্রে মুনিয়ার খবর পড়ে তাকে সাহায্য দিতে এগিয়ে আসেন রহিজ ভূইয়া।